দেশ 

নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চারটি প্রশ্নের উত্তর আসার পরেই ভিভিপ্যাট নিয়ে রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ইভিএম এর সঙ্গে সব এক শতাংশ ভি ভি  প্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখা নিয়ে যে রায় দেওয়ার কথা ছিল আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তা আজ দেওয়া হয়নি। মনে করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে আরো একটু সময় দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

এ ব্যাপারে আগেই আপত্তি তুলেছিল নির্বাচন কমিশন। তারা বলেছিল, সমস্ত বুথে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার ব্যালট পেপারের জমানায় পিছিয়ে যাবে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চও কিছুটা কমিশনের সুরেই কথা বলেছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপও করতে পারে না। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য যদি সত্যিই কিছু করার থাকে, তবে তারা অবশ্যই তা করবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ইভিএমে পড়া ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১০০টির বেশি আর্জি জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ছিল বিরোধী দলগুলির আর্জিও। দাবি ছিল, ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে কি না তো বোঝার জন্যই এই প্রক্রিয়া চালু হওয়া প্রয়োজন।

ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর সেই ভোট সঠিক জায়গায় পড়ল কি না তা দেখিয়ে দেয় ভিভিপ্যাট। ভোট দেওয়ার সাত সেকেন্ডের মধ্যে একটি কাগজ প্রার্থীর নাম প্রতীক-সহ বেরিয়ে আসে মেশিন থেকে। তবে সেই কাগজ প্রার্থীদের হাতে যায় না। জমা হয় একটি পাত্রে। এত দিন নিয়ম ছিল, প্রতিটি এলাকা থেকে যে কোনও পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে সেখানে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসাব মিলিয়ে দেখার। কিন্তু বিরোধীদের দাবি ছিল, প্রতিটি বুথেই এই কাগজ এবং ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই হিসাবে গরমিল থাকছে।

বছরখানেক ধরেই এই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। দুপুর ২টোর সময় এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের এক পদস্থ অফিসারকেও তলব করেছিল কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য। আদালত কমিশনকে মোট চারটি প্রশ্ন করেছিল।

১. সমস্ত ভিভিপ্যাটেই কি মাইক্রো কন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে?

২. এই মাইক্রো কন্ট্রোলারকে কি এক বারই প্রোগ্রাম করা যায়?

৩. নির্বাচন কমিশনের কাছে কতগুলি সিম্বল লোডিং ইউনিট রয়েছে?

৪. নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় ৩০ দিন। আর সমস্ত রেকর্ড ৪৫ দিন পর্যন্ত মজুত করা থাকে। কিন্তু সংবিধান বলছে জমা দেওয়ার সময় ৪৫ দিন। তাই রেকর্ড মজুত করার সময়ও আরও বৃদ্ধি করা উচিত।

আদালত জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ সংক্রান্ত বেঞ্চের কাছে যা যা প্রশ্ন ছিল, তার জবাব পেয়েছে তারা।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ